টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে করণীয়: পরীক্ষা, চিকিৎসা ও পরামর্শ

টেস্টোস্টেরন হলো পুরুষদের যৌন হরমোন, যা অণ্ডকোষে তৈরি হয়।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক পুরুষদের যৌন বৃদ্ধি ও কার্যকলাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
Table of Contents
Toggleকিশোর বয়সে (বয়ঃসন্ধিকালে), টেস্টোস্টেরন ছেলেদের শরীরে কিছু পুরুষালি বৈশিষ্ট্য গঠনে সাহায্য করে, যেমন: শরীরে ও মুখে লোম গজানো, কণ্ঠস্বর মোটা হওয়া এবং পেশির শক্তি বাড়া।
পুরুষদের শরীরে শুক্রাণু তৈরির জন্যও টেস্টোস্টেরন দরকার।
সাধারণভাবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাই বয়স্ক পুরুষদের রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম থাকে।
কিছু পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা খুবই কম থাকে। একে বলা হয় Testosterone Deficiency Syndrome (TD) বা Low Testosterone (Low-T)।
“ঘাটতি” মানে শরীরে কোনো প্রয়োজনীয় উপাদান কম থাকা।
আর “সিনড্রোম” মানে এমন কিছু উপসর্গ একসাথে থাকা, যা কোনো নির্দিষ্ট রোগ বা স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
আমেরিকান ইউরোলজি অ্যাসোসিয়েশন (AUA) অনুযায়ী, রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যদি প্রতি ডেসিলিটারে ৩০০ ন্যানোগ্রামের কম হয়, তাহলে সেটাকে লো টেস্টোস্টেরন (Low-T) বা কম টেস্টোস্টেরন বলা হয়।
লো টেস্টোস্টেরনের সঙ্গে নিচের উপসর্গ বা সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে:
- যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া
- অতিরিক্ত ক্লান্তি
- পেশির গঠন বা ওজন কমে যাওয়া
- রাগ বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া
- লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা (ইরেকটাইল ডিসফাংশন)
- বিষণ্ণতা বা মন খারাপের অনুভূতি
তবে এই উপসর্গগুলোর অন্য অনেক কারণও থাকতে পারে, যেমন:
- নিয়মিত মাদকজাত ওষুধ (যেমন: ওপিওয়েড) ব্যবহার
- কিছু জন্মগত শারীরিক সমস্যা (যেসব রোগ বা সমস্যা জন্ম থেকেই থাকে)
- অণ্ডকোষ নষ্ট হওয়া বা আঘাত পাওয়া
- ডায়াবেটিস
- ওজন বেশি হওয়া (মোটা হওয়া বা স্থূলতা)
যদি আপনার এসব উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টেস্টোস্টেরন থেরাপি (TT) কেন দরকার?
যদি আপনার লো টেস্টোস্টেরন (Low-T) থাকে, তাহলে আপনার টেস্টোস্টেরন থেরাপি (TT) দরকার হতে পারে।
FDA (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এবং AUA (আমেরিকান ইউরোলজি অ্যাসোসিয়েশন) — উভয়েই মনে করে যে জন্মগত কিছু শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে যেমন Klinefelter syndrome, টেস্টোস্টেরন থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আপনার অণ্ডকোষ যদি আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা অপসারণ করতে হয় (যেমন ক্যানসারের কারণে), সেক্ষেত্রেও আপনার TT লাগতে পারে।
অধিকাংশ পুরুষ যাদের Low-T আছে (কারণ যেটাই হোক), তাদের চিকিৎসা করা হয় যখন তাদের শরীরে Low-T–এর উপসর্গ দেখা যায় এবং রক্তপরীক্ষায় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম পাওয়া যায়।
যদি আপনি মনে করেন আপনার TT লাগতে পারে, তাহলে একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
টেস্টোস্টেরন থেরাপির উপকারিতা ও ঝুঁকি
TT আপনাকে উপকার দিতে পারে, তবে কিছু ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে। (এগুলো নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।)
FDA বলেছে যে টেস্টোস্টেরনযুক্ত ওষুধের লেবেলে উল্লেখ থাকা উচিত যে এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকতে পারে কিছু পুরুষের জন্য।
তাই TT শুরু করার আগে এবং TT চলাকালীন সময়ে পুরুষদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের জন্য পরীক্ষা করা উচিত।
তবে, AUA বিভিন্ন গবেষণা পর্যালোচনা করে বলেছে যে TT হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বা কমায় — এমন শক্ত প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
FDA আরও উদ্বিগ্ন হয়েছে, কারণ অনেক পুরুষকে শুধুমাত্র বয়স বৃদ্ধির কারণে Low-T চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
এখনও গবেষণা চলছে, বয়স বাড়ার সাথে TT ব্যবহারের উপকারিতা ও ঝুঁকি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
আপনার ডাক্তার আপনার উপসর্গ দেখে TT-এর সুবিধা ও ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং আপনার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা ঠিক করবেন।
পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি (Low Testosterone) কতটা সাধারণ?
এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা কঠিন, কারণ কতজন পুরুষের টেস্টোস্টেরন ডেফিসিয়েন্সি (TD) আছে, সেটা নির্ভুলভাবে বলা যায় না। তবে তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে মোটামুটি ২.১% পুরুষের (প্রতি ১০০ জনে প্রায় ২ জন) TD থাকতে পারে।
যুবকদের মধ্যে মাত্র ১% এর মতো মানুষের TD থাকতে পারে, কিন্তু ৮০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে ৫০% পর্যন্ত এই সমস্যায় ভুগতে পারেন।
এই রোগ নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা অনেক সময় বিভিন্ন মাত্রা বা সীমা ব্যবহার করেন (যেমন কতটা কম টেস্টোস্টেরন হলে তাকে Low-T ধরা হবে), তাই বিভিন্ন উৎসে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা শোনা যেতে পারে।
TD বেশি দেখা যায় এমন পুরুষদের মধ্যে রয়েছেন:
- যাদের ডায়াবেটিস আছে
- যারা ওভারওয়েট বা স্থূল (অতিরিক্ত ওজন)
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ওভারওয়েট পুরুষদের মধ্যে ৩০%–এর Low-T ছিল, যেখানে সাধারণ ওজনের পুরুষদের মধ্যে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৬.৪%।
একই গবেষণায় ডায়াবেটিসকেও TD হওয়ার একটি ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস আছে এমন ২৪.৫% পুরুষের Low-T ছিল, যেখানে ডায়াবেটিস নেই এমন পুরুষদের মধ্যে এই সংখ্যা ছিল ১২.৬%।
উপসর্গসমূহ (Symptoms)
লো টেস্টোস্টেরন (Low Testosterone) বা টেস্টোস্টেরন ঘাটতির (TD) অনেকগুলো লক্ষণ ও উপসর্গ রয়েছে।
এর মধ্যে কিছু উপসর্গ টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত (যাকে বলে নির্দিষ্ট লক্ষণ), আর কিছু উপসর্গ পরোক্ষ বা অস্পষ্ট (যা অন্য কারণেও হতে পারে)।
আপনার ডাক্তারের কাজ হবে—এই উপসর্গগুলোর মানে বোঝা ও আপনার শরীরের অবস্থা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া।
টেস্টোস্টেরন ঘাটতির নির্দিষ্ট উপসর্গ (Specific Signs/Symptoms of TD):
এই উপসর্গগুলো সাধারণত সরাসরি টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন:
- যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া
- লিঙ্গ উত্থানের (ইরেকশন) ক্ষমতা কমে যাওয়া
- শরীরের লোম ঝরে যাওয়া বা কমে যাওয়া
- দাড়ি-গোঁফ গজানোর হার কমে যাওয়া
- পেশির পরিমাণ কমে যাওয়া (lean muscle mass হ্রাস)
- সারাক্ষণ খুব ক্লান্ত লাগা (fatigue)
- ওজন বেড়ে যাওয়া বা স্থূলতা (obesity)
- বিষণ্ণতা বা মন খারাপের লক্ষণ (depression)
টেস্টোস্টেরন ঘাটতির অস্পষ্ট/অনির্দিষ্ট উপসর্গ (Non-specific Signs/Symptoms of TD)
অনির্দিষ্ট উপসর্গ হলো এমন কিছু লক্ষণ, যেগুলো টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির সঙ্গে সম্পর্কিতও হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। যেমন:
- শরীরের শক্তি, সহনশীলতা ও দৈহিক শক্তি কমে যাওয়া
- স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া
- কথা বলার সময় সঠিক শব্দ খুঁজে পেতে সমস্যা হওয়া
- মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হওয়া
- কাজের জায়গায় পারফর্মেন্স খারাপ হওয়া
এই উপসর্গগুলোর যেকোনো একটি থাকলেই টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি আছে—এমনটা বলা যায় না।
তবে যদি একাধিক উপসর্গ একসঙ্গে দেখা দেয়—যেমন আপনি একটানা খুব ক্লান্ত ও বিষণ্ণ অনুভব করছেন, এবং এটা আপনার জন্য নতুন একটা পরিবর্তন—তাহলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির পরীক্ষা করা দরকার হতে পারে।
শুধুমাত্র যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়াই মানে এই নয় যে আপনার TD আছে।
কিন্তু যদি একসঙ্গে যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া, ইরেকশন ঠিকমতো না হওয়া, এবং ক্লান্তি বা মন খারাপের অনুভূতি থাকে—তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
কারণসমূহ (Causes)
কিছু মানুষ জন্ম থেকেই এমন কিছু শারীরিক অবস্থায় ভোগেন, যেগুলো টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি (Testosterone Deficiency – TD) সৃষ্টি করতে পারে। যেমন:
- Klinefelter syndrome (একটি জন্মগত জেনেটিক সমস্যা)
- Noonan syndrome
- Ambiguous genitalia — যখন যৌনাঙ্গ স্বাভাবিকভাবে গঠিত না হয়ে অস্বচ্ছ বা অস্পষ্ট থাকে (পুরুষ বা নারী বোঝা কঠিন হয়)
কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে পরে জীবনে Low-T দেখা দেয়, যেমন:
- দুর্ঘটনায় অণ্ডকোষে আঘাত পেয়ে ক্ষতি হওয়া
- ক্যানসারের কারণে অণ্ডকোষ অপসারণ করা
- কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি নেওয়া
- পিটুইটারি গ্রন্থির রোগ, যার ফলে হরমোনের ঘাটতি হয়
- ইনফেকশন (সংক্রমণ)
- অটোইমিউন রোগ — যখন শরীর নিজের কোষকে শত্রু ভেবে আক্রমণ করে
মূলত, যদি আপনার অণ্ডকোষ স্বাভাবিকের চেয়ে কম টেস্টোস্টেরন তৈরি করতে থাকে, তাহলে রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাবে।
অনেক পুরুষের TD-র কারণ হয়:
- বয়স বাড়া
- মোটা হওয়া (স্থূলতা)
- মেটাবলিক সিনড্রোম — যেমন উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্তে চিনি, খারাপ কোলেস্টেরল ও পেটের চর্বি
- কিছু ওষুধ, যেমন:
- অবসাদ কমানোর ওষুধ (অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট)
- মাদকের মতো কাজ করে এমন ব্যথানাশক ওষুধ (নারকোটিক পেইন মেডিসিন)
- অবসাদ কমানোর ওষুধ (অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট)
কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যাও টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত:
- এইচআইভি (HIV): প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৩০ জনের টেস্টোস্টেরন কম
- এইডস (AIDS): প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৫০ জনের টেস্টোস্টেরন কম
নিদান (Diagnosis)
যদিও অনেক উপসর্গ লো টেস্টোস্টেরন (Low-T) এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে, রক্তের মোট টেস্টোস্টেরনের মাত্রাই টেস্টোস্টেরন ঘাটতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাপ।
নিদান নিশ্চিত করার জন্য, আপনার ডাক্তার রক্তের টেস্টোস্টেরন মাত্রার পাশাপাশি অন্যান্য নির্দিষ্ট লক্ষণ ও উপসর্গও বিবেচনা করবেন।
চিকিৎসার সময় কী হয়?
আপনার চিকিৎসা পরিদর্শনে, ডাক্তার আপনার স্বাস্থ্য ইতিহাস নেবেন, একটি শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং এই আর্টিকেলে বর্ণিত কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ খুঁজে দেখবেন।
স্বাস্থ্য ইতিহাস (Health History)
ডাক্তার আপনাকে নিচের বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন:
- মাথাব্যথা, দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন (যেমন পিটুইটারি টিউমারের কারণে হতে পারে)
- বয়ঃসন্ধির সময় আপনার শারীরিক উন্নতি কেমন হয়েছিল
- মাথায় আঘাত পাওয়ার ইতিহাস
- মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার, টিউমার বা কিরণ চিকিৎসার ইতিহাস
- গন্ধ অনুভব করার ক্ষমতা হারানো (Anosmia)
- অণ্ডকোষে সংক্রমণের ইতিহাস
- অণ্ডকোষে আঘাত লাগার ঘটনা
- বয়ঃসন্ধির পর মম্পস (Mumps) রোগ
- অতীতে বা বর্তমানে অ্যানাবোলিক স্টেরয়েড ব্যবহার
- অপিয়েট (opiates) ব্যবহার
- গ্লুকোকর্টিকয়েড (যেমন কর্টিসোন) ব্যবহারের ইতিহাস, যা প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়
- কেমোথেরাপি বা কিরণ চিকিৎসার ইতিহাস
- টেস্টোস্টেরন কম হওয়ার সাথে সম্পর্কিত পরিবারের রোগের ইতিহাস
- স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস
- অজানা কারণে রক্তশূন্যতার (অ্যানিমিয়া) ইতিহাস
শারীরিক পরীক্ষা (Physical Examination)
আপনার ডাক্তার নিচের বিষয়গুলো পরীক্ষা করবেন:
- ওজনজনিত সমস্যা: ওজন মাপতে BMI (বডি ম্যাস ইনডেক্স) বা কোমরের পরিধি পরীক্ষা করা হবে
- মেটাবলিক সিনড্রোম: যেগুলো হলো একসঙ্গে দেখা যায় এমন লক্ষণ যেমন উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্তে চিনি, কোমরের আশেপাশে অতিরিক্ত চর্বি, এবং অস্বাভাবিক কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা
- শরীরের লোম: লোমের প্যাটার্ন, পরিমাণ এবং অবস্থান
- জাইনেকোমাসটিয়া: বক্ষ বৃদ্ধির সমস্যা (পুরুষদের স্তন বড় হওয়া)
- অণ্ডকোষের অবস্থা: অণ্ডকোষ আছে কিনা এবং তাদের আকার
- প্রোস্টেটের আকার এবং কোনো অস্বাভাবিকতা
পরীক্ষা (Testing)
আপনার ডাক্তার নিচের রক্ত পরীক্ষা করাতে পারেন:
- মোট টেস্টোস্টেরন মাত্রা:
এটি সকাল ১২টার আগেই দুইবার করানো উচিত কারণ বিকেলে টেস্টোস্টেরন কম থাকে। আপনি যদি অসুস্থ থাকেন, তবে পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে কারণ অসুস্থতা ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। - লিউটিনাইজিং হরমোন (LH):
এই পরীক্ষাটি করা হয় টেস্টোস্টেরনের কারণ বুঝতে। এই হরমোন টেস্টোস্টেরন তৈরির নিয়ন্ত্রণ করে। যদি এর মাত্রা অস্বাভাবিক হয়, তাহলে পিটুইটারি গ্রন্থিতে সমস্যা থাকতে পারে। - প্রোল্যাকটিনের রক্ত পরিমাণ:
প্রোল্যাকটিনের মাত্রা বেশি থাকলে, পরীক্ষা পুনরায় করানো হতে পারে ভুল পরিমাপ এড়াতে। বেশি প্রোল্যাকটিন পিটুইটারি সমস্যার বা টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। - রক্তের হিমোগ্লোবিন (Hgb):
হিমোগ্লোবিন কম থাকলে, ডাক্তার অন্যান্য কারণ যেমন উচ্চ পাহাড়ের এলাকা, ঘুমের সমস্যা (স্লিপ অ্যাপনিয়া), ধূমপান ইত্যাদি খুঁজে দেখবেন।
অন্যান্য পরীক্ষা (Additional Tests)
নিদান সহজ করতে নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলোও করা যেতে পারে:
- ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH):
শিশু করতে চান এমনদের জন্য স্পার্ম তৈরির ক্ষমতা পরীক্ষা করতে। এই পরীক্ষা এবং শুক্রাণু পরীক্ষাগুলো হরমোন থেরাপির আগে করা হয়। - এসট্রাডিয়ল হরমোন পরীক্ষা:
যদি স্তনে সমস্যা থাকে। - HbA1C রক্ত পরীক্ষা:
ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য। - পিটুইটারি গ্রন্থির MRI (ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং)
- হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা (Bone density test)
- ক্যারিওটাইপ (ক্রোমোসোম পরীক্ষা)
ফ্রি টেস্টোস্টেরন বা বায়োঅ্যাভেইলেবল টেস্টোস্টেরন
এগুলো মোট টেস্টোস্টেরন পরীক্ষার মতো নয়। পার্থক্য জানার জন্য আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করুন এবং প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করান।
চিকিৎসা
গত কয়েক বছরে, মিডিয়ায় টেস্টোস্টেরন থেরাপি (TT) সম্পর্কে আরও বেশি রিপোর্ট এসেছে, এবং ৪০ থেকে ৬৪ বছর বয়সের অনেক পুরুষ পরীক্ষা করিয়েছেন এবং TT পেয়েছেন। কিছু পুরুষ নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ থাকলে পরীক্ষিত না হয়েও TT নিতে চাইতে পারেন। এই কাজটি তাদের জন্য নিরাপদ বা কার্যকর নাও হতে পারে। TT নেওয়ার আগে সর্বদা মোট টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত।
AUA পরামর্শ দেয় TT শুধুমাত্র তাদের জন্য যাদের ক্লিনিক্যাল এবং ল্যাবরেটরি দৃষ্টিকোণ থেকে টেস্টোস্টেরন ঘাটতি রয়েছে (টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ৩০০ ng/dL এর নিচে)। TT সম্পর্কে আপনাকে যা জানার দরকার তা নিচে দেওয়া হলো:
আপনার ডাক্তার সম্ভবত টেস্টোস্টেরনের মাত্রা মাপবেন যদি আপনার থাকে:
- অজানা রক্তস্বল্পতা (Unexplained anemia)
- ডায়াবেটিস
- হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া (Bone density loss)
- কম আঘাতে হাড় ভাঙা (Low-trauma bone fracture)
- অণ্ডকোষে বিকিরণ (Radiation to your testicles)
- HIV/AIDS পজিটিভ টেস্টের ফল
- দীর্ঘস্থায়ী নারকোটিক ব্যবহারের ইতিহাস
- বাচ্চা না হওয়ার ইতিহাস (History of infertility)
- পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা
আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ না থাকে, তবুও আপনার ডাক্তার নিচের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পরীক্ষা করতে পারেন:
- ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা (Insulin resistance)
- কেমোথেরাপির ইতিহাস
- কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহারের ইতিহাস
ওজন কমানো এবং বেশি শারীরিক কার্যকলাপ করার মত স্বাস্থ্য পরিবর্তন সম্ভবত আপনার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াবে।
TT নেওয়ার সময় আপনার ডাক্তার আপনার হিমোগ্লোবিন/হেমাটোক্রিট (Hgb/Hct) পরীক্ষা করবেন। এই রক্ত পরীক্ষা রক্ত ঘন হওয়ার বিষয়টি নিরীক্ষণ করবে।
রক্ত ঘন হলে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকে। TT শুরু করার ২ থেকে ৬ সপ্তাহ পর এবং তারপর প্রতি ৬ থেকে ১২ মাস পর এই পরীক্ষা করা হবে।
যদি আপনার হার্টের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে, TT নেওয়ার সময় ডাক্তার আপনাকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। হার্ট ও রক্তনালীর রোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্য পরিবর্তন করাও গুরুত্বপূর্ণ।
ডাক্তার আপনার কম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে ৩০০ ng/dL এর উপরে নিয়ে আসবেন, যদিও সঠিক মাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
ডাক্তার আপনার উন্নতির লক্ষণ ও উপসর্গ নজর রাখবেন। চিকিৎসার ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
যদি আপনার মোট টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যায়, কিন্তু আপনি এখনও উপসর্গ অনুভব করেন, তাহলে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। তখন ডাক্তার TT বন্ধ করে অন্য কারণ খুঁজে দেখবেন।
টেস্টোস্টেরন কীভাবে নিতে হয়?
সাধারণত টেস্টোস্টেরন নেওয়ার পাঁচ ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো হল:
ট্রান্সডার্মাল (ত্বকের মাধ্যমে), ইনজেকশন, ওরাল/বাক্কাল (মুখের মাধ্যমে), ইন্ট্রানাসাল (নাক দিয়ে), এবং পিলেটস (ত্বকের নিচে ছোট ছোট টুকরা দিয়ে)।
কোনো একটি পদ্ধতি অন্যের থেকে ভালো বা খারাপ নয়। TT চলাকালীন আপনার ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করবেন।
পাঁচটি পদ্ধতির বিস্তারিত:
১. ট্রান্সডার্মাল (ত্বকের ওপর):
এতে থাকে জেল, ক্রিম, তরল ও প্যাচ। এই ধরনের ওষুধ সাধারণত চার দিন পর্যন্ত কাজ করে। ওষুধ ভালো শোষিত হয় যদি তাকে বাতাস বা পানি থেকে রক্ষা করা হয়।
- তরল, জেল, ক্রিম বা প্যাচ অবশ্যই শুকনো, কাটা বা স্ক্র্যাচ মুক্ত ত্বকে লাগাতে হবে।
- পরবর্তী ডোজের আগ পর্যন্ত ওই জায়গা ধুতে হবে না।
- লাগানোর পর হাত ধুয়ে নিতে হবে।
- বিশেষ করে নারী ও শিশুরা যেন ওই ওষুধ স্পর্শ না করে তা নিশ্চিত করবেন।
- প্যাচ হলো একটি ব্যান্ড-এইডের মতো, যাতে ওষুধ থাকে। এটা লাগিয়ে রেখে পরবর্তী ডোজের সময় পর্যন্ত থাকবে। প্যাচ থেকে অন্য কারো কাছে ওষুধ ছড়ানোর সম্ভাবনা তরল, জেল বা ক্রিমের চেয়ে কম।
২. ইনজেকশন:
ইনজেকশনের শর্ট-অ্যাকটিং এবং লং-অ্যাকটিং দুই ধরনের রয়েছে। শর্ট-অ্যাকটিং ইনজেকশন ত্বক বা পেশীতে দেওয়া যায়, আর লং-অ্যাকটিং সাধারণত পেশীতে দেওয়া হয়। ইনজেকশন সাধারণত সাপ্তাহিক, পাক্ষিক বা মাসিক দেওয়া হয়।
৩. ওরাল/বাক্কাল (মুখ দিয়ে):
বাক্কাল ডোজ প্যাচের মতো একটি ছোট টুকরা, যা উপরের ইন্সাইসার দাঁতের (ক্যানাইন বা “আইটুথ”) পাশে লাগানো হয়। এটি ট্যাবলেটের মতো দেখতে হলেও চিবানো বা গলানো যাবে না। এই ওষুধ ১২ ঘণ্টা ধরে ধীরে ধীরে মুক্ত হয়। মুখে গিলে নেয়ার চেয়ে এটির লিভারের ক্ষতি কম, তবে মাথাব্যথা বা লাগানোর জায়গায় জ্বালা হতে পারে।
৪. ইন্ট্রানাসাল (নাক দিয়ে):
এটি একটি জেল হিসেবে পাওয়া যায়। নির্দেশ মতো প্রতিটি নাকে পাম্প করে দেওয়া হয়। সাধারণত দিনে তিনবার নিতে হয়।
৫. পিলেটস:
ডাক্তার আপনার উপরের হিপ বা নিতম্বের ত্বকের নিচে ছোট ছোট টেস্টোস্টেরন পিলেটস রাখবেন। প্রথমে স্থানীয় অ্যানাস্থেশিয়া দিয়ে ত্বক নাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়, তারপর একটি ছোট চিরুনী দিয়ে পিলেটসটি ত্বকের নিচের চর্বিতে রাখা হয়। এই ওষুধ ধীরে ধীরে গলে যায় এবং প্রায় ৩ থেকে ৬ মাস ধরে কাজ করে, পিলেটের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে।
আপনার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক বা উপযুক্ত পদ্ধতি বেছে নিন।
কিছু ক্ষেত্রে আপনার বীমা সংস্থা টেস্টোস্টেরন থেরাপির ধরন নির্ধারণ করতে পারে।
এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনার ডাক্তার সঙ্গে আলোচনা করুন।
টেস্টোস্টেরন থেরাপির (TT) কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
হ্যাঁ, TT-এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হালকা, আবার কিছু গুরুতর হতে পারে। আপনি TT নেওয়ার সময় এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কে আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সঙ্গে কথা বলুন এবং লক্ষ রাখুন।
সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হলো:
- জেল ও তরলের ক্ষেত্রে: ত্বকে প্রয়োগ করার জায়গায় লালচে ভাব দেখা দিতে পারে।
- প্যাচের ক্ষেত্রে: প্রয়োগস্থলে চুলকানি বা চর্মরোগ (র্যাশ) হতে পারে।
- অল্প কিছু রোগী পিঠে ব্যথা অনুভব করেছেন।
- শর্ট-অ্যাকটিং ইনজেকশন: ইনজেকশনের জায়গায় ব্যথা বা ফোলা হতে পারে।
- লং-অ্যাকটিং ইনজেকশন: কিছু রোগীর গুরুতর অ্যালার্জি হয়েছে। এজন্য ইনজেকশন দেওয়ার পর আপনাকে কিছুক্ষণ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।
- পিলেটস ব্যবহারে: সাইটে ফোলা, ব্যথা, কালসিটে এবং মাঝে মাঝে হেমাটোমা (ত্বকের নিচে জমাট রক্ত) হতে পারে।
- TT চলাকালে: রক্তে হিমোগ্লোবিন ও হেমাটোক্রিট অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে — যাকে ইরিথ্রোসাইটোসিস বলা হয়।
- TT সাধারণত শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে। আপনি যদি শীঘ্রই সন্তান নিতে চান, তবে TT এড়িয়ে চলাই ভালো। চিকিৎসক চাইলে শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য বাড়তি চিকিৎসা দিতে পারেন।
- টপিকাল (ত্বকের ওপর) TT — যেমন: জেল, ক্রিম ও তরল — অন্যের গায়ে লেগে যেতে পারে।
- নারী ও শিশুদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
- ওষুধ প্রয়োগের পর হাত ধুয়ে ফেলুন এবং প্রয়োগস্থল ঢেকে রাখুন।
- অন্য কারো গায়ে যেন স্পর্শ না করে সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
- নারী ও শিশুদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
- FDA-এর পরামর্শ অনুযায়ী: যদি আপনি ঘরে কোনো শিশুর সঙ্গে থাকেন বা নিয়মিত তাদের সংস্পর্শে আসেন এবং আপনি টপিকাল TT ব্যবহার করেন, তাহলে শিশুর আগাম বয়ঃসন্ধির লক্ষণ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
- টপিকাল TT প্রয়োগ করার জায়গাটি না ধুয়ে বা না ঢেকে রাখলে শিশুদের স্পর্শ করা উচিত নয়।
- টপিকাল TT প্রয়োগ করার জায়গাটি না ধুয়ে বা না ঢেকে রাখলে শিশুদের স্পর্শ করা উচিত নয়।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- TT-এর সঙ্গে প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোনো প্রমাণিত সংযোগ নেই।
- TT-এর সঙ্গে রক্তনালির রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকিরও শক্ত প্রমাণ নেই।
- হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি TT বাড়ায় বা কমায় – এ সম্পর্কেও এখনো কোনো শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে, TT চলাকালীন আপনি যদি স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ অনুভব করেন, তবে তৎক্ষণাৎ আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
চিকিৎসার পর
মনে রাখবেন, প্রতিটি মানুষ আলাদা এবং প্রত্যেকের শরীর চিকিৎসায় ভিন্নভাবে সাড়া দেয়।
টেস্টোস্টেরন থেরাপি (TT) হয়তো ইরেকটাইল ফাংশন, যৌন আকাঙ্ক্ষা, অস্থিমজ্জার ঘনত্ব, রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া), লিন বডি মাস (পেশি), এবং বিষণ্ণতার উপসর্গগুলো উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
তবে, TT যে স্মৃতিশক্তি, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, শক্তি বা ক্লান্তিভাব, কোলেস্টেরল প্রোফাইল বা জীবনের গুণগতমান উন্নত করবে – এমন কোনো শক্ত প্রমাণ নেই।
রুটিন চেকআপ করা দরকার, যাতে দেখা যায় আপনার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক আছে কিনা।
যারা TT-এর মাধ্যমে স্থিতিশীল আছেন, তাদের প্রতি ৬ থেকে ১২ মাসে একবার টেস্টোস্টেরন ও অন্যান্য ল্যাব টেস্ট করানো প্রয়োজন।
যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তবে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুন।
শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ালে ওজন কমবে এবং একই সঙ্গে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও বাড়তে পারে।
আরও তথ্য
আপনার চিকিৎসকের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যা আপনি করতে পারেন:
চিকিৎসকের কাছে গেলে আপনি কিছুটা নার্ভাস থাকতে পারেন। মাথায় থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো লিখে নিয়ে যাওয়া ভালো। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
- আমাকে TT দরকার কিনা তা জানতে কোন কোন পরীক্ষা লাগবে?
- কি এই পরীক্ষাগুলো আমাকে পুনরায় করাতে হবে? কতদিন পরপর?
- কম টেস্টোস্টেরনের কারণে আমার শুক্রাণু উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে কি?
- TT কি আমার উর্বরতা বাড়াবে?
- TT নেওয়ার পদ্ধতিগুলো কী কী? আপনার মতে আমার জন্য কোনটা সবচেয়ে ভালো? কেন?
- আমার ডায়াবেটিস আছে। এর মানে কি আমি TT নেবো?
- আমার ইরেকশন সমস্যা আছে। TT কি যৌনক্ষমতায় সাহায্য করবে?
- TT চলাকালে বা পরে আমার কোন জীবনধারা বা অভ্যাস পরিবর্তন করা দরকার কি যাতে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে?
- আমার ছেলে জন্ম থেকেই টেস্টোস্টেরন কম নিয়ে জন্মেছে। সে কি সারাজীবন TT নিতে হবে?
- আমার ছেলেকে তার TD নিয়ে মানসিকভাবে সাহায্য করার জন্য কোনো সাপোর্ট গ্রুপ আছে কি?
- আমাদের পরিবারে হার্ট ডিজিজ আছে। আমার জন্য TT নেওয়া কি নিরাপদ?